তৃপ্তি মেটেনা যতই দেখতে থাকি ততই দেখতে ইচ্ছে করে।অপলক নয়নে তাকাই,মনটা প্রশান্তিতে ভরপুর হয়ে যায় বলছিলাম, আমাদের প্রিয় মহানবী(স:) এর রওজা মোবারক এর কথা।গত তিনটা দিন রওজা মোবারকে আসা যাওয়ার মধ্যেই আছি।ছেড়ে যেতে মন চায়না।তবু যেতে হয়।
০২।রওজা মোবারকের দিকে তাকালে নানাবিধ চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে।এখানেই শুয়ে আছেন আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। পাশেই শুয়ে আছেন তাঁর একান্ত বিশ্বস্ত সহচর হজরত আবু বকর সিদ্দিক(র:) এবং হজরত ওমর ইবনে খাত্তাব(র:)।ভাবছি,নিজের কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই কিভাবে মহানবী(স:) এ স্থানেই খেজুর পাতার ছাউনির মসজিদে বসে সারা মুসলিম বিশ্ব শাসন করেছেন আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে! রাষ্ট্রীয়,সামাজিক,পারিবারিক,ব্যাক্তিগত সব সমস্যার সমাধান তিনি করেছেন এখানে বসেই।তাঁর প্রণীত ‘মদিনা সনদ’ বিভিন্ন ধর্ম,বর্ণ,গোত্র সম্প্রদায়ের মেলবন্ধন এবং সবাইকে নিয়ে সবার তরে সামাজিক ন্যায় বিচার ভিত্তিক রাষ্ট্র,সমাজ পরিচালনা এর অনন্য দলিল।পক্ষ- বিপক্ষ সবাইকে সাথে নিয়ে পথচলার পথ নির্দেশ।
০৩।পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মানুষ আমাদের প্রিয় মহানবী (স:) তাঁর মৃত্যুর পূ্র্ব মূহুর্তে ও উম্মতের মংগল কামনায় কাতর ছিলেন।তাঁর শেষ মূহুর্তের কথাগুলো আমাদের গভীরভাবে অনুধাবন এবং পরিপালন করা প্রয়োজন।তিনি অন্তিম মুহূর্তে হজরত আলী (র:) কে ডেকে কানে কানে বল লেন,সালাত(নামাজ) এর হেফাজত করবে,দাস দাসীদের প্রতি সদয় আচরণ করবে।অন্তিম মুহূর্তে ও তিনি সমাজের সুবিধা বঞ্চিতদের কথা ভোলেন নি।মৃত্যু যন্ত্রণা শুরু হলে তিনি বললেন,হে আল্লাহ বড়ই কষ্ট,মৃত্যু যন্ত্রণা বড়ই কষ্টের।আমার উম্মত এ কষ্ট সহ্য করতে পারবেনা।আমার সব উম্নতের মৃত্যু যন্ত্রণা,হে আল্লাহ,তুমি আমাকে দিয়ে দাও।এ কথা বলার পরেই তিনি কলেমা পড়েন এবং তাঁর ওফাত হয়।আমরা নিজেদের সে নবীরই উম্নত দাবি করি।কিন্তু এ যোগ্যতা আমাদের আছে কি?
০৪। পরম করুণাময় আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আদায় করছি আমাকে একাধিক বার মসজিদে নববীতে আসার এবং প্রিয় নবী করিম(স:) এর রওজা জিয়ারতের সুযোগ দেবার জন্যে।আল্লাহ পাক নবী (স:) এর সকল মুমিন উম্মতকে ক্ষমা করুন।
লিখেছেন:
এএমএম নাসির উদ্দিন সাবেক সিনিয়র কূটনৈতিক ও বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও জাতীয় কল্যান বিষয়ক গবেষক ।
সিবিএনটুডে২৪ডটকম/২৩মে/জই/মদিনা