তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের শপথ নিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান।তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটে টানা তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার এক সপ্তাহ পর তুরস্কের প্রেসিডেন্টের শপথ নিয়েছেন রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।শনিবার (৩ জুন) শপথ গ্রহণের মাধ্যমে নিজের ক্ষমতাকে তৃতীয় দশকে নিয়ে গেছেন তুরস্কের জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। রাজধানী আঙ্কারায় পার্লামেন্ট ভবনে শপথ নেওয়ার সময় এরদোগান বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসাবে আমি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য মহান তুর্কি জাতি ও তুরস্কের ইতিহাস-অখণ্ডতার প্রতি আমার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
গত ১৪ মে তুরস্কে নির্বাচনে ৪৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোট পান এরদোগান। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলু পেয়েছিলেন ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট। কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রান-অফ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ২৮ শে মে।
রান অফ নির্বাচনে ৫২ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তুরস্কে দীর্ঘসময় ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোগান। ৯ বছর যাবত প্রেসিডেন্ট আর ১১ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করা এরদোগানের নেতৃত্বে ক্রমাগত কর্তৃত্ববাদী শাসনের পথে হাঁটা তুরস্কে স্মরণকালের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট চলছে। এরদোগানের পেশীবহুল পররাষ্ট্র নীতি আর অপ্রচলিত উপায়ে দেশের অর্থনীতি পরিচালনার ফলে রেকর্ড মূল্যস্ফীতির মুখোমুখি হয়েছে দেশটি।
এমন পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ভোটে এরদোগানের জন্য আরও বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল তিন মাস আগে দেশটিতে আঘাত হানা স্মরণকালের ভয়াবহ এক ভূমিকম্প। ওই ভূমিকম্পে অর্ধ-লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ভূমিকম্পের পর উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে দেশ ও বিদেশি তীব্র সমালোচনার শিকার হতে হয় এরদোগানের নেতৃত্বাধীন সরকারকে।
পার্লামেন্টে শপথ গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর আরবান ও আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানসহ ৭৮টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে।
শনিবারই তুরস্কের নতুন মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করেছেন এরদোগান। তুরস্কের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করানোর প্রচেষ্টায় তার অপ্রচলিত নীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সিবিএনটুডে/৭জুন/জই/তুরস্ক